Details Of Swami Vivekananda
স্বামী বিবেকানন্দের বিশদ তথ্য়
Swami Vivekananda Quotes In Bengali
স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি বা বাণী
- “যা কিছু আপনাকে শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল করে তোলে সেটাকে বিষ ভেবে প্রত্যাখ্যান করুন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “এ দেশের যত আইন কানুন, যত ভালোবাসা, যত স্মৃতি, সমস্ত মেয়েদের দাবিয়ে রাখার জন্য হয়েছে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “শুধু বড়ো লোক হয়ো না….বড় মানুষ হও ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “চোখ আমাদের পিছনের দিকে নয় সামনের দিকে, অতএব সামনের দিকে অগ্রসর হও । আর যেই ধর্মকে নিজের ধর্ম বলে গৌরববোধ করো, তার উপদেশ গুলিকে কাজে পরিণত করো । ঈশ্বর তোমাদের সাহায্য করুন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যে অপরকে স্বাধীনতা দিতে প্রস্তুত নয়, সে কখনই স্বাধীনতা পাইবার যোগ্য নহে। দাসেরা শক্তি চায় , অপরকে দাস বানিয়ে রাখার জন্য ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যা পারো নিজে করে যাও, কারও ওপর আশা বা ভরসা কোনোটাই কোরো না ।”
- “ইচ্ছা, অজ্ঞতা এবং বৈষম্য – এই তিনটিই হলো বন্ধনের ত্রিমূর্তি ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “মস্তিস্ককে উচ্চ মানের চিন্তা-ভাবনা দিয়ে পূর্ণ করো, দিবারাত্র এগুলোকে তোমার সামনে রেখে চলো, এগুলোর থেকে মহান কাজ বেরিয়ে আসবে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “সত্যের জন্য সব কিছুকে ত্যাগ করা চলে, কিন্তু কোনো কিছুর জন্য সত্যকে ত্যাগ করা চলে না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কোনো বড় কাজই কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার ছাড়া হয় নি ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কারোর নিন্দা করবেন না: যদি আপনি সাহায্যের জন্য আপনার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, তাহলে নিশ্চই তা বাড়ান । আর যদি না বাড়াতে পারেন, তাহলে আপনার হাত জোর করুন আর আপনার ভাইদের আশীর্বাদ করুন এবং তাদেরকে তাদের পথে যেতে দিন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “অজ্ঞানতাই বন্ধনের কারণ, আমরা অজ্ঞানেই বদ্ধ হয়েছি । জ্ঞানের উদয়ের দ্বারাই অজ্ঞানতার নাশ হবে, জ্ঞানই আমাদের অজ্ঞানতার পারে নিয়ে যাবে ।”
- “অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করো না, তুমি যা করতে পারো সেটা করো কিন্তু অন্যের উপর আশা করো না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “আমি বিশ্বাস করি যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “গীতা পড়ার পরিবর্তে আপনি ফুটবলের মাধ্যমে স্বর্গের আরো কাছাকাছি চলে যেতে পারবেন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “আমাদের দেশের শতকরা নব্বই জনই অশিক্ষিত, অথচ কে তাহাদের বিষয় চিন্তা করে? এইসকল বাবুর দল কিংবা তথাকথিত দেশহিতৈষীর দল কি?” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “মনের মতো কাজ পেলে অতি মূর্খও করতে পারে। যে সকল কাজকেই মনের মতো করে নিতে পারে, সেই বুদ্ধিমান। কোনো কাজই ছোট নয় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “তারা একাই থাকেন, যারা অন্যদের জন্য জীবিত থাকেন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “পুরুষরা মেয়েদের ভাগ্য গঠনের ভার গ্রহণ করাতেই নারী জাতির যত কিছু অনিষ্ট হয়েছে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “সমাজ অপরাধীদের কারণে খারাপ হয়না বরং ভালো মানুষদের নীরবতার কারণে হয় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “আমাদের দেশের মেয়েরা তেমন শিক্ষিতা নয় বটে, কিন্তু তারা অনেক বেশি প্রবিত্র ।”
- “জগতের কল্যাণ স্ত্রী জাতির অভ্যুদয় না হলে সম্ভাবনা নেই। এক পক্ষে পক্ষীর উত্থান সম্ভব নয় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যদি কোনদিন, আপনার সামান্য কোনো সমস্যা না আসে, আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি ভুল পথে হাটছেন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “ভারতীয় নারীদের যে রকম হওয়া উচিত, সীতা তার আদর্শ ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয় । আমাদের নিম্নশ্রেণীর জন্য কর্তব্য এই,কেবল তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের বিনষ্টপ্রায় ব্যক্তিত্ববোধকে জাগিয়ে তোলা ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “ওঠো এবং ততক্ষণ অবধি থেমো না, যতক্ষণ না তুমি সফল হচ্ছ ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “প্রথমে অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে, তারপর ধর্ম ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে; আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দৃঢ় করে সেটাকে আপন করে নেওয়া উচিত এবং প্রত্যেকটি ধারণা যা আপনাকে দুর্বল করে দেয়, তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত ।” –
- “পাঁচশো পুরুষের সাহায্যে ভারতবর্ষকে জয় করতে পঞ্চাশ বছর লাগতে পারে, কিন্তু পাঁচশো নারীর দ্বারা মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা করা যেতে পারে ।”
- “বিশ্ব একটি ব্যায়ামাগার যেখানে আমরা নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে এসেছি ।”
- “ভক্তি, যোগ এবং কর্ম – মুক্তির এই তিনটি পথ। প্রত্যেকের কর্তব্য তার উপযুক্ত পথটি অণুসরণ করে চলা। তবে এই যুগে কর্মযোগের উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত ।”
- “মহাবিশ্বের সমস্ত শক্তি প্রথম থেকেই আমাদের। তারা হল আমরাই যারা নিজের চোখের উপর প্রথমে হাত রাখি এবং তারপর কান্নাকাটি করি, কত অন্ধকার আছে বলে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কারোর নিন্দা করবেন না, যদি আপনি সাহায্যের জন্য আপনার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, তাহলে নিশ্চয় তা বাড়ান । আর যদি না বাড়াতে পারেন, তাহলে আপনার হাত জোর করুন আর আপনার ভাইদের আশীর্বাদ করুন এবং তাদেরকে তাদের পথে যেতে দিন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “বাহ্যিক স্বভাব কেবল অভ্যন্তরীণ স্বভাবের একটি বড় রূপ হয় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যেমন ভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে উৎপন্ন স্রোতগুলি তাদের জল সমুদ্রে মিলিত করে, তেমন প্রকারই মানুষ দ্বারা নির্বাচিত প্রত্যেক পথ সেটা ভালোই হোক বা খারাপ, ভগবানের কাছে নিয়ে যায় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “ইচ্ছা শক্তিই জগৎ কে পরিচালনা করে থাকে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে আমি যেন ঈশ্বরকে দেখি । নিজের মুক্তির জন্য তাদের কাছে গিয়ে তাদেরই পূজা করবো, ঈশ্বর তাদের মধ্যে রয়েছেন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “সেই নারীও ধন্য যার চোখে পুরুষ ভগবানের পিতৃভাবের প্রতীক ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত, যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যে মানুষ বলে – তার আর শেখার কিছু নেই সে আসলে মরতে বসেছে। যত দিন বেঁচে আছো – শিখতে থাকো ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “তোমাদের সবার ভিতর মহাশক্তি আছে, নাস্তিকের ভিতর তা নেই | যারা আস্তিক তারা বীর, তাদের মহাশক্তির বিকাশ হবেই ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে? যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই, সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না ।”
- “সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা, নিজের প্রতি বিশ্বাস করুন ।”
- “মানুষকে সর্বদা তার দুর্বলতার বিষয় ভাবতে বলা, তার দুর্বলতার প্রতীকার নয় । তার শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়াই প্রতিকারের উপায়। তার মধ্যে যে শক্তি আগে থেকেই বর্তমান, তার বিষয় স্মরণ করিয়ে দাও ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “প্রবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা কোরো, তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্।” –
- “নিজের জীবনে ঝুঁকি নিন, যদি আপনি জেতেন তাহলে নেতৃত্ব করবেন আর যদি হারেন তাহলে আপনি অন্যদের সঠিক পথ দেখাতে পারবেন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “সেবা করো তাৎপরতার সাথে। দান করো নির্লিপ্ত ভাবে। ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে। ব্যয় করো বিবেচনার সাথে। তর্ক করো যুক্তির সাথে। কথা বলো সংক্ষেপে ।”
- “মানুষ মূর্খের মত মনে করে, স্বার্থপর উপায়ে সে নিজেকে সুখী করতে পারে। বহুকাল চেষ্টার পর অবশেষে বুঝতে পারে প্রকৃত সুখ স্বার্থতার নাশে এবং সে নিজে ছাড়া অন্য কেউই তাকে সুখী করতে পারবে না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “প্রত্যেক নারী-পুরুষকে ইশ্বরের দৃষ্টিতে দেখতে থাকো । তোমরা কাউকেই সাহায্য করতে পারোনা, কেবল সেবা করতে পারো । নিজেদের খুব বড় কিছু ভেবনা; তোমরা ধন্য যে সেবা করার অধিকার পেয়েছ, অন্যরা পায়নি ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “মানুষের সেবাই হলো ভগবানের সেবা ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “একটি সময়ে একটিই কাজ করো এবং সেটা করার সময় নিজের সবকিছুই তার মধ্যে ব্যয় করে দেও ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “উঁচুতে উঠতে হলে তোমার ভেতরের অহংকারকে – বাহিরে টেনে বের করে আনো, এবং হালকা হও … কারণ তারাই ওপরে উঠতে পারে যারা হালকা হয়।”
- “জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র; জগত এখন তাদের চায় – যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যেই রকম আপনি ভাববেন ঠিক সেইরকমই আপনি হয়ে যাবেন । যদি আপনি নিজেকে দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করেন তাহলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন আর আপনি যদি নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন, তাহলে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন ।”
- “পবিত্র, খাঁটি ও প্রত্যক্ষ অনুভূতি সম্পন্ন মহাপ্রাণ ব্যক্তিরাই, জগতে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে থাকেন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “ধর্ম হচ্ছে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে থাকা দেবত্বের প্রকাশ ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা প্রেমের শক্তি … অনেক বেশি শক্তিমান ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “দুনিয়া আপনার সম্বন্ধে কি ভাবছে সেটা তাদের ভাবতে দিন । আপনি আপনার লক্ষ্যগুলিতে দৃঢ় থাকুন, দুনিয়া আপনার একদিন পায়ের সম্মুখে হবে”
- “শেখার জন্য এটাই হল প্রথম শিক্ষা – দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও যে বাইরের কোনো কিছুকে অভিশাপ দেবে না, বাইরের কাউকে দোষ দেবে না, কিন্তু উঠে দাড়াও – নিজেকে দোষ দাও, তুমি বুঝতে পারবে – নিজেকে ধরে রাখার জন্য এটাই হল সঠিক পন্থা ।”
- “যে রকম বীজ আমরা বুনি, সে রকমই ফসল আমরা পাই। আমরাই আমাদের ভাগ্য তৈরী করি, তার জন্য কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, কাউকে প্রশংসা করারও কিছু নেই ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তার জীবন, সংকোচন মৃত্যু, প্রেম জীবন, ঘৃণা মৃত্যু ।”
- “আমাদের জাতীয় জীবন অতীতকালে মহৎ ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু আমি অকপটভাবে বিশ্বাস করি যে, আমাদের ভবিষ্যত আরও গৌরবান্বিত।”
- “যত বেশি আমরা বাইরে গিয়ে অন্যদের ভালো করবো, আমাদের হৃদয় ততই বিশুদ্ধ হবে এবং ভগবান সেখানে বাস করবেন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “আর কিছুরই দরকার নেই । দরকার শুধু প্রেম, ভালোবাসা ও সহিষ্ণুতা । জীবনের অর্থ বিস্তার আর বিস্তার ও প্রেম একই কথা । সুতরাং প্রেমই জীবন, এটাই জীবনের একমাত্র গতি ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না, তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি, অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি ।”
- “সব শক্তিই আপনার মধ্যে আছে সেটার উপর বিশ্বাস রাখুন, এটা বিশ্বাস করবেন না যে আপনি দুর্বল | দাঁড়ান এবং আপনার মধ্যেকার দৈবত্বকে চিনতে শিখুন ।”
- “সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কী সামাজিক, কী রাজনৈতিক, কী আধ্যাত্মিক সব ক্ষেত্রেই যথার্ত কল্যাণের ভিক্তি একটিই আছে ।সেটি এইটুকু জানা যে, আমি আর আমার ভাই এক । এই কথাটি সব দেশ ও সব জাতির পক্ষে সমান ভাবে সত্য ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “একটি রাষ্ট্রের অগ্রগতি জানার সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেই রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান ।”
- “সত্যকে হাজার আলাদা আলাদা উপায়ে বলা যেতে পারে, তারপরেও সব কিছু সত্যই থাকে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে, কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশি নিঃস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “আমরা স্ত্রীলোককে নিচ, অধম, মহা হেয়, অপবিত্র বলি। তার ফল – আমরা পশু, দাস, উদ্যমহীন, দরিদ্র ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “মহাবিশ্বের সীমাহীন পুস্তকালয় আপনার মনের ভীতর অবস্থিত ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কাজ করো নির্ভীকভাবে। এগিয়ে চলো সত্য আর ভালোবাসা নিয়ে ।”
- “যারা তোমাকে সাহায্য করেছে, তাদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কখনও ঘৃণা কোরো না। যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “নিজেকে দুর্বল মনে করা সবথেকে বড় পাপ ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “নারীদের পাশ্চত্য জ্ঞান ও বিজ্ঞান যেমন শেখাতে হবে, তেমনি জাগাতে হবে ভারতীয় আদর্শ ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “তুমি ইন্দ্রিয়ের দাস কিন্তু এই ইন্দ্রিয়ের ভোগ স্থায়ী নয়, বিনাশী এর পরিনাম । এই তিনদিনের ক্ষনস্থায়ী বিলাসের ফল সর্বনাশ । অতএব ইন্দ্রিয়ের দ্বারা সৃষ্ট সুখকে ত্যাগ করো, এটাই ধর্মলাভের উপায় । ত্যাগই আমাদের চরম লক্ষ্য ও মুক্তির পথ কিন্তু ভোগ আমাদের লক্ষ্য নয় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “শুধু সংখ্যাধিক্য দ্বারাই কোনো মহৎ কাজ সম্পন্ন হয়না । অর্থ, ক্ষমতা, পান্ডিত্য কিংবা বক্তৃতা এইগুলির কোনটিরই বিশেষ কোনো মূল্য নেই । ” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “সাহসী লোকেরাই বড় বড় কাজ করতে পারে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “নিজের উপর বিশ্বাস না এলে … ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কখনো না বলোনা, কখনো বলোনা আমি করতে পারবোনা । তুমি অনন্ত এবং সব শক্তি তোমার ভিতরে আছে, তুমি সব কিছুই করতে পারো ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “আমাদের জাতের কোনো ভরসা নেয়, কোনো একটা স্বাধীন চিন্তা – কাহারও মাথায় আসে না , সেই ছেঁড়া কাঁথা নিয়ে টানাটানি ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “আর কিছুরই দরকার নেই । দরকার শুধু প্রেম, ভালোবাসা ও সহিষ্ণুতা । জীবনের অর্থ বিস্তার আর বিস্তার ও প্রেম একই কথা | সুতরাং প্রেমই জীবন, এটাই জীবনের একমাত্র গতি ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যখন কোনো বিচার অন্যভাবে মনকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে, তখন সেটা বাস্তবিক, শারীরিক বা মানসিক অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে যায় ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যখন আপনি ব্যস্ত থাকেন তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয় কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয়না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যতক্ষণ না আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবেন, ততক্ষন আপনি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করবেন না ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কোনো ব্যক্তি অসত্যের দিকে আকৃষ্ট হয় তার প্রধান কারণ হলো, সে সত্যকে ধরতে পারছেনা । অতএব যা মিথ্যে তা দূর করার একমাত্র উপায় হলো, যা সত্য তা মানুষকে দিতে হবে । সত্যটা কি? তাকে সেটা জানিয়ে দেও | সত্যের সাথে সে নিজের ভাবের তুলনা করুক । তুমি তাকে সত্য জানিয়ে দিলেই ওখানেই তোমার কাজ শেষ হয়ে গেল ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “পেছনে তাকিও না, শুধু সামনের দিকে তাকাও – অসীম শক্তি, অসীম উদ্দম, অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য – এরা একাই পারে মহান কোনো কর্ম সম্পন্ন করতে ।”
- “কখনও বড় পরিকল্পনার হিসাব করবেন না, ধীরে ধীরে আগে শুরু করুন, আপনার ভূমি নির্মাণ করুন তারপর ধীরে ধীরে এটিকে প্রসার করুন ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দেশের একটি কুকুরও ক্ষুধার্ত, আমার সমগ্র ধর্মকে একে খাওয়াতে হবে এবং এর সেবা করতে হবে, তা না করে অন্য যাই করা হোক না কেন তার সবই অধার্মিক ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “কেবল আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করতে পারলেই সবধরনের দুঃখ-কষ্ট ঘুচবে । যতই শক্তি প্রয়োগ, শাসন প্রণালীর পরিবর্তন ও আইনের কড়াকড়ি করোনা কেন, তারফলে জাতির অবস্থার পরিবর্তন হয়না । আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষাই, প্রবৃত্তি পরিবর্তন করে জাতিকে সৎ পথে চালিত করে ।” – স্বামী বিবেকানন্দ
Final Words
এখানে আমরা স্বামী বিবেকানন্দের উক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এটি খুব সহায়ক এবং আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। আমি আশা করি আপনি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন এবং এই নিবন্ধটি পড়ার পরে আপনি অনুপ্রাণিত হবেন। য্দি স্বামী বিবেকানন্দের আর কিছু বাণী আপনার জানা থাকে তাহলে অবশ্য়ই কমেন্ট করে জানাবেন আমরা আপনার কমেন্ট আমাদের কালেকশন- এর সাথে যুক্ত করে দেব । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, দয়া করে এটি বন্ধুদের এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করুন। আমাদের ওয়েব্সাইট কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাবেন ।